প্রকাশিত: ২৫/০৬/২০১৮ ৮:০০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩৩ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই অংশকেই সংরক্ষিত পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে এটিকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সচিবালয়ে আজ রোববার এভিয়েশন ও পর্যটন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব মহিবুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এটিজেএফবি সভাপতি নাদিরা কিরণ।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন মহিবুল হক। বক্তব্যে এ খাতের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে পর্যটনের প্রসারে অনেক কিছু করার আছে। গণমাধ্যমসহ এ খাত-সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে চাই।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ প্রসঙ্গে সচিব মহিবুল হক বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের বিচের পাশের অংশটি সংরক্ষিত পর্যটন এলাকা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু এই সড়কের অপর অংশ যেদিকে পাহাড় আছে, সেটি এখনো সংরক্ষিত নয়। এই সড়কের দুই অংশকেই সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এটি করা হলে এখন এ সড়কের পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, তা উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি গত বছরের জুনে উদ্বোধন করা হয়। সমুদ্রসৈকতের ধার ঘেঁষে ৮০ কিলোমিটার সড়কটি টেকনাফের সাবরাংয়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে এখন অন্যতম আকর্ষণ এই সড়কটি। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতজুড়ে থাকা এই রাস্তাটিই এখন পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হিসেবে পরিচিত। এই সড়কের একদিকে আছে বঙ্গোপসাগর, অন্যদিকে দৃষ্টিনন্দন পাহাড় ও অন্যান্য স্থাপনা।
মেরিন ড্রাইভ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এটি নির্মাণ করেছে। তিনটি ধাপে দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার, পরের ধাপে শিলখালী থেকে টেকনাফ সদর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার ও শেষ ধাপে শিলখালী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়ক তৈরি করা হয়। পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় এলাকাটিতে দ্রুত সড়ক যোগাযোগ বাড়াতে ১৯৯৯ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এটিজেএফবি সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...